এরিক এরশাদের ঘোষণা: জাপা চেয়ারম্যান রওশন, কো-চেয়ারম্যান বিদিশা
বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিদিশা সিদ্দিকীকে দলের কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে এরশাদ পুত্র এরিক এরশাদ। বুধবার (১৪ জুলাই) বারিধারা প্রেসিডেন্ট পার্কে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় সংসদ সদস্য সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
এরিক এরশাদ বলেন, আমার বাবা যখন অসুস্থ তখন রাতে আমার বাবাকে জিম্মি করে আমার চাচা জি এম কাদের দলের দায়িত্বে চেয়ারম্যান পদ লিখিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় পার্টি আজ ধ্বংসের মুখে। তিনি অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদটি নিয়েছেন, আমরা তাকে মানি না।
অনুষ্ঠানে সাদ এরশাদ বলেন, আমরা জঞ্জালমুক্ত থাকতে চাই। বিশেষ এই দিনে বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
কেএফ
মন্তব্য করুন
শিব নারায়ণ দাশকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে : জি এম কাদের
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে শিব নারায়ণ দাশের অনন্য ভূমিকা অক্ষয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন শিব নারায়ণ দাশ জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
তিনি আরও বলেন, শিব নারায়ণ দাশের স্বপ্নের পতাকা আমাদের গৌরবের অর্জন। তাকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে একইভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : রওশন এরশাদ
পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে পার্টির চেয়ারম্যানের বাসভবনস্থ কার্যালয়ে কো-চেয়ারম্যানদের জরুরি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রওশন এরশাদ বলেন, কলমের খোঁচায় যখন তখন যে কাউকে বহিষ্কার-অব্যাহতি দেওয়া রহিত করা হয়েছে। পার্টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পার্টিতে নতুন ধারা সূচিত হয়েছে। এখন আর এক ব্যক্তির এক কথায় দল পরিচালিত হবে না।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি ছিল, পার্টিতে গণতন্ত্রের পূর্ণ চর্চা প্রতিষ্ঠা করা। তাদের সেই দাবির প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন রেখেই গঠিত গঠনতন্ত্র দশম সম্মেলনে অনুমোদন দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, দশম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকধারা অব্যাহত রেখেই গঠিত হয়েছে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র। গঠনতন্ত্র মেনেই গঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। আর পার্টিও চলবে সেই ধারা মেনে।
সভায় জাতীয় পার্টির কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভরায় ও রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
‘৩ বিদেশি শক্তি আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছে’
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আগেই বুঝেছিলাম, বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না। তিন বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তাই দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। তবে ভোট ভালো হয়নি।
নির্বাচনের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শনিবার জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন বিরোধী দলীয় এ নেতা। গত বছরের ১২ নভেম্বর বর্ধিত সভায় জাপার নেতারা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে মতামত দেন। তবে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬ আসনে ছাড় পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশ্নের মুখে জি এম কাদের নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল তখন।
নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয় মন্তব্য করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিলেন।
আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে, এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম। বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে।
সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায় তবে তা কখনও সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না। এবং জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি না।
রেলের ভাড়া বাড়ানো অমানবিক: জি এম কাদের
রেলের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টিকে অমানবিক বলে দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। সরকারের এ সিদ্ধান্তটি জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (৪ মে) এক বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রেল সাধারণ জনগণের বাহন। ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম ও নিরাপদ। বর্তমান বাজারে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে দেশের মানুষের অবস্থা খারাপ। তার ওপর তীব্র তাপপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক আয় ব্যাহত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় রেলের ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক ও অমানবিক। রেলপথে ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসহনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য আরেক দফা বেড়ে যাবে রেলের ভাড়া বৃদ্ধিতে।
পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া বহাল রাখার আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের আরও বলেন, যারা রেলপথে চলাচল করে না তাদের জীবনেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। আমরা আশা করছি রেলের রেয়াত বহাল রেখে সরকার রেলের ভাড়া সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় করে রাখবে।
দেশের ইতিহাসে কখনও এত বেশি বৈষম্য ছিল না: জি এম কাদের
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সময় এত বেশি বৈষম্য ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, যারা সরকারি দল করছেন, তারা সব ধরনের নিয়ম-নীতির বাইরে। তারা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। এমন কোনো বিষয় নেই যেখানে তারা বৈষম্য সৃষ্টি করছেন না।
তিনি বলেন, চাকরিবাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য যেখানে যাবেন প্রথমে দেখবে আপনি সরকারি দলের কি না। যদি আপনার পরিবারের কোনো সদস্য অন্য কোনো দল করে তাহলে আপনি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। আমরা চাই যারা বৈষম্য সৃষ্টি করছেন তারা নিপাত যাক।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বৈষম্য তৈরি করার জন্য যদি নোবেল প্রাইজের মতো কোনো প্রাইজ যদি থাকতো তাহলে বর্তমান সরকার সেই নোবেল প্রাইজ পেত।
জি এম কাদের বলেন, এখন দেশের মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে। মালিকানা জনগণের হাতে নেই। জনগণের কথা বলারই অধিকার নেই। বলতে গেলেই নানান সমস্যা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একটা শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই দেশটাকে দখল করে ফেলেছে। এখন জনগণের কথা নয়, তাদের কথায় জনগণকে চলতে হবে। বর্তমান সরকার সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জনগণের কাঁধে চেপেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের বুঝতে হবে আমরা জনগণের পক্ষে থাকব নাকি সুযোগ-সুবিধার পক্ষে থাকব। জনগণের পক্ষে থাকতে গেলে ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে এবং আমি সে রকম মনোভাব থাকা উচিত।
‘বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়’
বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ১২টি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে; যারা হেরে গেছে তারাই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যেমন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হয়েছে, তখন আওয়ামী লীগ বলেছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আবার ’৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, তখন বিএনপি বলেছে- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বর্তমান ব্যবস্থায় শতভাগ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেওয়া ফর্মুলা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব। ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। যে দল যতভাগ ভোট পাবে তারা শতকরা ততভাগ এমপি পাবে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জালভোট দেওয়া যায়, কারচুপি করা যায়। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচন চায় না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন দাবি করে তারা স্বাধীন। আসলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা নেই। আইনে লেখা আছে নির্বাচনকালীন সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বাচন কমিশনের কথা মানতে বাধ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কথা না শুনলে কী হবে তা লেখা নেই। তাই নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় এসে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে চায় না। বিএনপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থার ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকছে। নির্বাচন ফেয়ার করতে হলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুর, কানাডা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে সম্পদ করছে একটি গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন চালকরা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাচ্ছে। তাই সড়কে দুর্ঘটনা কমছে না।